Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সেবার তালিকা

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

১। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিটিজেন চার্টার

 বিএমডিএ’র সেবা সমূহঃ

  1. গভীর নলকূপ স্থাপন এবং আবাদযোগ্য জমি নিয়ন্ত্রিত সেচ সুবিধার  আওতায়  এনে কুপন পদ্ধতি/প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী কম খরচে সেচ প্রদান।
  2. সেচের পানি ও কৃষি জমির অপচয় কমানো এবং সেচ এলাকা বৃদ্ধির জন্য সেচ কাজে ব্যবহার্য পানি বিতরণ ব্যবস্থা নির্মাণ।
  3. কম খরচে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য সেচ যন্ত্র বিদ্যুতায়ন ।
  4. ভূ-পরিস্থ পানির উৎস বৃদ্ধির জন্য খাল/খাড়ী ও পুকুর পূণঃ খনন এবং সেচ কাজে ব্যবহার ।
  5. সেচের গভীর নলকূপ হতে হতে আর্সেনিকমুক্ত খাবার পানি সরবরাহ।
  6.  বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নে গ্রামীণ সংযোগ সড়ক নির্মাণ।
  7.  প্রাকৃতিক ভারসাম্য আনয়নে ব্যাপক বনায়ন।
  8.  শস্য বহুমুখীকরণের মাদ্যমে ফসলের উৎপাদন ও নিবিড়তা বৃদ্ধিকল্পে উন্নত বীজ বিতরণ।
  9. কৃষি উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
  10.  বিভিন্নমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির দারিদ্র বিমোচন ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তা করা ।

সেবা প্রদানের সত্মরঃ

  1. জয়পুরহাট রিজিয়নাধীন ৫টি উপজেলায় সহকারী প্রকৌশলী’র একটি করে দপ্তর আছে। এই জোন দপ্তর সেবা প্রদানের  প্রাথমিক সত্মর।
  2. জয়পুরহাট জেলায়  নির্বাহী প্রকৌশলী’র একটি দপ্তর আছে  যাহা রিজিয়ন দপ্তর নামে পরিচিতি। রিজিয়ন দপ্তর সেবা প্রদানের দ্বিতীয় সত্মর।
  3.  বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর সদর দপ্তর রাজশাহী জেলা সদরে অবস্থিত। ইহা সেবা প্রদানের সর্বশেষ সত্মর।

 সেবা প্রদান পদ্ধতিঃ

গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ প্রদান।

  1. গভীর নলকূপ স্থাপন করে আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের সেচ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়।
  2.  সেচ সুবিধা গ্রহণের আগে আগ্রহী কৃষকবৃন্দ গভীর নলকূপ গ্রহণে নূন্যপক্ষে ৬০ একর সেচ এলাকা হিসেবে স্কীম উপজেলা পর্যায়ে দপ্তরে জমা দেবেন। কারিগরিভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হলেই কেবল গভীর নলকূপ স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো (পানি বিতরণ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ) নিশ্চিত করা হয়।
  3.  গভীর নলকূপ পরিচালনার জন্য বিএমডিএ কর্তৃক নিয়োজিত এক জন অপারেটর বিএমডিএ’র নির্ধারিত বিধি-বিধান মতে কৃষকদের   চাহিদা মোতাবেক সেচের পানি সরবরাহ করে থাকেন।
  4.  উপকারভোগি কৃষকদের সেচের পানি গ্রহণ করতে বিএমডিএ কর্তৃক ধার্যকৃত সেচচার্জ, সেচ গ্রহণের পূর্বেই পরিশোধ করতে হয়। সেচচার্জ পরিশোধের জন্য বর্তমানে প্রচলিত সেচচার্জ কুপন জমা বা প্রি-পেইড মিটার কার্ডের মাধ্যমে অপারেটরের নিকট থেকে প্রয়োজন মোতাবেক সেচ গ্রহণ করতে পারেন।
  5. নিয়ন্ত্রিত সেচ প্রদানের গভীর নলকূপ স্থাপনের সাথে সাথে সেচের পানি বিতরণে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন নির্মাণ ও সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়।
  6. বিএমডিএ গভীর নলকূপসহ সংশ্লিষ্ট সেচ ব্যবস্থাপনা সমুহের রক্ষণাবেক্ষণ  করে থাকে ।

 

ভূ-গর্ভস্থ পানির সরবরাহ বৃদ্ধি ও সেচকাজে ব্যবহার করা হয়ঃ

  1. ভূ-গর্ভস্থ পানি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে সেচ কাজে ব্যবহার  করা হয়ে থাকে।
  2. খাল/খাড়ী, পুকুর পূণঃ খনন করে ভূ-পরিস্থ পানির সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে । পূণঃ খননকৃত খাড়ীতে ক্রসড্যাম নির্মাণ করে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সম্পুরক সেচ প্রদানসহ বোরো ও শীতকালীন ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়।

 

গ্রামীণ পর্যায়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নঃ

  1. স্থাপিত গভীর নলকূপ হতে আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামের জনসাধারণের মধ্যে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
  2. গ্রামীণ জনসাধারণের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ এবং যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে থাকে।

বৃক্ষরোপন সেবাঃ

  1. বিএমডিএ’র নিয়ন্ত্রণাধীন নার্সারী†Z বিভিন্ন জাতের  ফলজ ও বনজ বৃক্ষ চারা নির্ধারিত মূল্য সরবরাহ করা হয়।
  2. প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে বিএমডিএ সরকারী রাসত্মার ধার, বাঁধ, খাস জমি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি স্থানে জমির মালিকের সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে বৃক্ষরোপন করে থাকে।
  3. চারা উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা রক্ষার্থে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

 

কৃষি উপকরণ ও সেবা প্রদান প্রশিক্ষণঃ

  1. বিএমডিএ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন্ জাতের উচ্চফলনশীল ধানের বীজ নির্ধারিত মূল্য কৃষকদের মাঝে                সরবরাহ করে থাকে।
  2. উপজেলা/জোন পর্যায়ে বিএমডিএ‘র সহকারী প্রকৌশলীর মাধমে বীজ ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়।
  3. আধুনিক চাষাবাদের সাথে কৃষকদের সম্পৃক্ত করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকারভোগি কৃষকদের উপজেলা পর্যায়ে সেচসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
  4. ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি ও বৈচিত্রতা বৃদ্ধির উপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
  5. জ্বালানী সাশ্রয়, বিদ্যুৎ, জৈব সার প্রস্ত্ততকরণ প্রক্রিয়াসহ প্ররিবেশ বান্ধব কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রামীণ জনসাধারণকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হসত্মামত্মর করা  হয়ে থাকে।

 

  1. জেলা পর্যায়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী’র দপ্তর সমূহ।
  2. রাজশাহীস্থ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর।

 

সেবা গ্রহণকারী জনসাধারণের অভিযোগ/দুর্দশার প্রতিকার ঃ

  1. কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহণকারী জনসাধারণের অভিযোগ/দুর্দাশা দ্রুততার সাথে প্রতিকারের জন্য ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ করেন।
  2. উপজেলা /জোন পর্যায়ের ফোকাল পয়েন্টে অভিযোগ/সমস্যা উত্থাপিত হলে তিনি সেবা প্রাপ্তির প্রকৃতি বিবেচনা করে ৩-৭দিনের মধ্যে সমস্যা নিরসন করবেন। সমস্যা সমাধান/সেবা প্রদান তার ক্ষমতা বর্হিভূত হলে জেলা পর্যায়ে ফোকাল পয়েন্টের নিকট মতামত/সুপারিশসহ প্রেরণ করবেন।
  3. জেলা পর্যায়ে ফোকাল পয়েন্ট প্রাপ্ত অভিযোগ/সমস্যা পরবর্তী ৭-১০ দিনের মধ্যে অভিযোগের সমাধান/সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন। সমস্যা সামাধান/সেবা প্রদান তার ক্ষমতা বর্হিভূত হলে মতামতসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী’র দপ্তর/সদর দপ্তরে প্রেরণ করবেন।

 সেবা গ্রহণকারী জনসাধারণের অভিযোগ/সমস্যা দাখিলের স্থানঃ

  1. জেলা পর্যায়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী’র দপ্তর সমূহ।

     2.   রাজশাহীস্থ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর।